কাঞ্চনবাড়ির সরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জল খেয়ে অসুস্থ গ্রামবাসী, উদাসীন দপ্তর

কাঞ্চনবাড়ির সরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জল খেয়ে অসুস্থ গ্রামবাসী, উদাসীন দপ্তর

ঊনকোটি, ২ নভেম্বরঃ
সরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জল খেয়ে এবং সেই জল ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কাঞ্চনবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ, বিষয়টি জানার পরও উদাসীন পানীয়জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের আধিকারিকরা। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গোটা এলাকার মানুষ।

ঘটনাটি ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার অন্তর্গত কাঞ্চনবাড়ি এলাকার। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি পানীয়জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের উদ্যোগে কাঞ্চনবাড়ি এলাকায় একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। ওই প্ল্যান্টের মাধ্যমে কাঞ্চনবাড়ি, তরনীনগর, পশ্চিম কাঞ্চনবাড়ি সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় হাজারখানেক পরিবারের মধ্যে পানীয়জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্ল্যান্টটি স্থাপনের পর গত ১২ বছরে একবারও দপ্তরের পক্ষ থেকে সংস্কার বা সারাইয়ের কাজ করা হয়নি। প্রথমদিকে পরিশ্রুত জল পাওয়া গেলেও গত কয়েক মাস ধরে প্ল্যান্টের জল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। পেটের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ও চুল পড়ার মতো নানা রোগে ভুগছেন স্থানীয় মানুষ।

আরও গুরুতর অভিযোগ, যে চুন দিয়ে জল পরিশ্রুত করার কথা, সেই পরিবর্তে কৃষিকাজ ও মাছচাষে ব্যবহৃত কীটনাশকজাত চুন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্ল্যান্টের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মেশিনটি বহু বছর ধরে নষ্ট হয়ে রয়েছে, ভিতরের বেশিরভাগ মেশিনে ঝং ধরেছে। ফলে জল সঠিকভাবে পরিশ্রুত না হয়েই সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা একাধিকবার দপ্তরের কুমারঘাট ডিভিশনের আধিকারিক ও সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সাড়া পাননি। বরং তাঁরা তালবাহানা করে পরিদর্শন এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছি। অবিলম্বে প্ল্যান্ট সংস্কার করে পরিশ্রুত জল সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।”

একটি সূত্রের খবর, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক প্রভাবশালী ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের চুন সরবরাহ করে চলেছেন। অথচ দপ্তরের আধিকারিকরা সেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছেন না।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *